ভালোবাসার ইশতেহার হাতে আরও একবার পূর্বজন্মে ফিরে যাবো

এম মনজুরুল ইসলাম


চলো,
ত্রিশ বছর পর পাবলিক লাইব্রেরির সামনে দাঁড়িয়ে আবার আমরা ভালোবাসাবাসি শিখবো,
তেইশ প্রজন্মের এক সামরিক
ফাল্গুনে তোমার আঙুল
ছুঁয়ে পড়তে থাকবো
স্বরচিত কবিতা,
এক কোটি
বছর
রঙখসা
মীটসেফে
তুলে রাখবো প্রাচীনতম
ভালোবাসার বীভৎস
অভিযোগনামা….

যাবে, মেহেরুন?

যদি আমি তোমাকে আবার ভালোবাসি? ভালোবেসে জানতে চাই- আমাকে দেখার পর কি তুমি
স্বামী সংসার ছেড়ে এই
ইলেকট্রিক যুগেও
উদ্বাস্তু
হবে?

আমার অস্তিত্বে খুঁজবে ভালোবাসার ভাস্কর্য?
সহস্র নীলপদ্ম হাতে বসে থাকবে কি
প্রগাঢ় অন্ধকারে? কিংবা হাত
বাড়িয়ে ছোঁবে আমার
ক্লান্ত বুক ও ভগ্ন
থুতনির
একাংশ?

ইতোমধ্যে আমি যেসব নারীকে
শতাব্দীর প্রতিটা দিন ভালোবেসেছি, ওদের উরুর মালভূমিজুড়ে যৌন সম্রাট হয়ে দেখেছি
প্রিয়তমার উগ্রতর মুখ-
আমি স্থির করেছি
তোমার জন্য
সেসব নারীদের নাভীর
অন্তিম গুহা থেকে
খুঁজে আনবো
একটি
ঐতিহাসিক সঙ্গমের যৌগিক
রসায়ন……

মেহেরুন,
আমি যেভাবে তোমাকে জলরঙে এঁকেছি- সেভাবে লিওনার্দো দ্য ভিঞ্চি স্তনযুগল এঁকেছিলেন
তাঁর মোনালিসার, সবংশে নিশ্চিহ্ন
হতে চেয়েছিল নামকবিতার
বিশ্বস্ত ঢঙ, অনিরাপদ
সমুদ্রে জেগে
উঠেছিল
মার্কারি জোছনা….

তোমার সিঁদুরের ফোঁটা দেখে স্থির করেছিলাম
আরও একবার ভালোবাসার ইশতেহার
হাতে পূর্বজন্মে ফিরে যাবো,
শেষতক স্নান করবো
তোমার উর্বর
শরীরের
উষ্ণ হ্রদে…..

আমি জানি- আমাদের ভালোবাসাগুলো এখন
ফুলার রোডের প্রতিটি বিল্ডিং-এর টেরিসে
দাঁড়িয়ে শহরের হৃৎপিণ্ড থেকে
রক্ত প্লাবনের আওয়াজ
শুনে মৃত হতে
চায়…..

আমাদের স্নায়ুজুড়ে মুহূর্তেই ভিড় করে নৈঃশব্দের
ত্রিশ বছর। আমরা উদগ্রীব হয়ে নতমুখে
চেয়ে দেখি ভালোবাসার
বয়ঃসন্ধিকাল….

যদি তোমার উত্তপ্ত নগরীতে সংরক্ষণ করো আমার
নিজস্ব মর্ত্যভূমি, আমাকে দেখতে দাও বয়সের চৌষট্টিতম রাজটিকা- আমি পরিশুদ্ধ
প্রেমিক হয়ে তোমাকে এনে
দেবো পুঁথিগত
ভালোবাসার অষ্টম
অনুচ্ছেদ…

তোমার প্রতি,
তোমার উত্থিত ঠোঁটের লিপস্টিকের প্রতি এবং
চিরায়ত আলিঙ্গনের প্রতি আমি
অধঃপতিত একজন
যুগপৎ পুরুষ
হয়ে ভেঙে
ফেলবো ২০০৯, ২০১০ থেকে
২০২০-এর বারোটি
নিষিদ্ধ বিচ্ছেদের
আবাদভূমি….

এখন আমি
তোমাকে ভালোবাসতে শিখেছি। অতএব ২০২১-এর প্রতিটি নারী ও পুরুষের মতো তোমাকে গোগ্রাসে ভালোবাসবো, উৎপন্ন করবো
প্রেমিকদের দীর্ঘ
অক্ষরমালা…..


কবিঃ এম মনজুরুল ইসলাম

মতামত দিনঃ