সুহাসিনী আনিষা হাত বাড়িয়ে খুঁজে পেয়েছে তার পথের সঙ্গীকে, কিন্তু হাত বাড়ালেই তা কি সারাজীবন সামলে রাখা যায়?
আনিষার গল্প জানতে দেখ জন, মেহজাবিন এবং তাহসান অভিনীত, শাফায়েত মনসুর রানা নির্মিত, আফসানা কাশেম মিমি-এর লেখা নাটক ”হাতটা দাও না বাড়িয়ে”!
গল্পঃ কলেজ বন্ধু
লেখকঃ কাজী রাকিবুল ইসলাম
স্থানঃ ফেনী
ঘটনাটি ছিলো কোন এক কলেজ এ,, আমি এসএসসি পরীক্ষায় ড্রপ খাওয়ার পর আমি সিন্দাত্ব নি আমাকে জে করে হোক পাশ করতে হবে কলেজ এ পডতেহবে,আমায় দুই তিনটা মেয়ে ফেন্ড থাকবে এর পর আমার তেমন কোন বন্ধু ছিলো না যাদের সাথে একটু সময় কাটাবো এখন কি করবো বুঝতে ছিনা আমি আব্বুকে বলি আব্বু আমি আমাদের জে দোকান টা আছে তাতে আমি বসবো শিখবো কিভাবে কাস্টমার এর সাথে ডিল করে,পরে আব্বু বলে ওকে তুমি জাও ‘ আমি আসতে আসতে জাওয়া শুরু করলাম দোকানএ জেখানে সেল মেন বসে ওখানে বসে পডলাম, পথম পথম কাস্টোমার ডাকতে আমার কেমন জানি লাগতো জারা ছোট তাদের কে আপু, আপা,আন্টি,খালাম্মা, এইসব বলে ডাকতাম,,আস্তে আস্তে আমার সরম বেঙে গেলো সকালে দোকান জায়তাম দুপুরে খাওয়ার সময় রিকশা করে বাসায় আসতাম বিকালে পাইবেট পডতাম আবার রাতে সন্দায় দোকান এ জায়তাম পতিদিন আমার বেতন ছিলো ৫০ টাকা করে,,, আমি পতিদিন না নিলেও দুইদিন পর ১০০ টাকা করে নিতাম,,এই ভাবে কেটে গেলো আটমাস,, আমি আগে থেকে এখন দোকান ভালো ভাবে বুুঝি , আবার এসএসসি পরীক্ষা দিলাম আল্লাহর রহমতে শেষমেষ পাশ করলাম, কলেজ এ এফলাই দিলাম কিন্তুু কি আর করার আমার জে পয়েন্ট তা দিয়ে কোন সরকারি কলেজ এ নাম আসলো না পরে আমি চিন্তা করলাম আমি যদি আমাদের মার্কেট এর পাশে কলেজ টাতে ভর্তী হয় তাহলে আমি দোকানের কিছু কাস্টোমার পাবে, ভর্তী হয়ে গেলাম আমি নিজে জায়,,,,আমার পথম দিন ক্লাস সবাই একসাথে একটা রুমে বসলাম অনুষ্ঠান করে আমাদেরকে বরন করলো,,ভালো লাগলো পরে ৫ তারিখ এ পথম ক্লাস একটা খাতা নিলাম কলেজ এ গেলাম কোনদিকে জাবো কিছু বুঝতেছিনা শেষমেশ বসলাম একটা রুমে ওখানে দেখি ছেলে থেকে মেয়ে বেশী জায় খোক মনের মাঝে একটা চিন্তা একটা মেয়েকে ফেন্ড বানাবো,, তাই সব মেয়েদের দিকে একবার করে তাকিয়ে দেখলাম কিন্তুু কোন টা ভালো লাগেনায়,আমার সাথে একটা ছেলে ছিলো তার সাথে পথম পরিচয় নাম আকাশ তার ডিটেইলস নিলাম সে আমার টা নিলো,ক্লাস এ স্যার আসলো সবার পরিচয় জিগাস করলো প্রথম আমাদের সারি থেকে শুরু করলো পথমে একটা ছেলে বেস্ন থেকে উঠে তার পরিচয় দিলো কিন্তুু স্যার তাকে বললো তুমি কি বলো মেয়েদের মতো কিছু শোনাজায়না সকালে কিছু খেয়ে আসোনায়,,এর পর স্যার বলে তোর থেকে মেয়েরা আরো জরে বলতে পারে,।মেয়ে একজন কে জিগাস করলো সে ছেলে থেকে আরো আস্তে বললো স্যার বলে তুই তো এতে তুন ও ওধম ওদের কে জিগাস করার পর আমার পালা আসলো তখন আমি দাডিয়ে আমার পরিচয় দিলাম স্যার খুশি হয়ে আমাকে বলে বিরপুরুষ,আমি তো আবার ক্লাস এর সবার থেকে ছিলাম বুঝেন তো,আমার পরিচয় দেওয়া সাথে সাথেই একমেয়ে বলে সেসমেশ এক পিছ পাওয়া গেলো,,জায় হোক পথম দিন শেষ বাসায় আসলাম কলেজ এ জাওয়া শুরু করলাম কলেজ সকাল ৯-২ টা সময় ছিলো বিকেলে দোকান এ আসি,,, এভাবে কিছুদিন জাওয়ার পর একদিন কলেজ এ না আসার কারনে পড়া কি দিলো তা জানা ছিলোনা,আমি একটা মেয়ে কে জিগাস করে পডা নিলাম আস্তে আস্তে তার সাথে ছলাপেরা শুরু কলেজ থেকে বের হলে আমরা দিঘির পাডে আড্ডা দিতাম,এভাবে জাচ্ছিলো,হুট করে অন্য শাখার একটা মেয়ে আসলো চাকমা ও আমাকে ওদের বাসায় তে বললো গম আছুন আমি বলি হে, ও আমাকে বলে তুমি আমার কথা বুঝতে পারো এই বলে তার হাত টা বাডিয়ে দিলো আমার দিকে আমি ও কোন কথা নাবলে হাতটা ধরে পেলাম।এর পর ও আমার ফেন্ড হয়ে গেলো, এইদুই জন এর পাশাপাশি আরো কইজন মেয়ে বন্ধু পেলাম,ক্লাস এর সব ছেলেরা বলে আমাদের সাথে মেয়েগুলো কথা বলেনা ওর সাথে কেনো বলে এই নিয়ে সবাই সমালোচনা করতে লাগলো, এর মাঝে আমি পথম ফেন্ড ফানশি ওর সাথে একটু অন্য রকম ছিলাম এটা কইএকজন ছেলে-মেয়ে এবং স্যার ও বুঝতে পারে সবাই কে বলি তার সাথে আমার কিছুই নেই সুদায় সন্দেহ করচ তোরা তাও ওরা কি আমার কথা বিশ্বাস করে,,পতিদিন এর মতো আমি ক্লাস এ আসলে সব মেয়েদের দিকে একবার করে তাকিয়ে দেখি জেনো কেউ সন্দেহ না করে।
পথম সাময়িক পরীক্ষা শেষ ফানশির সাথে আরো কইজন ছেলের ফেন্ড হলো তারাও কথা বলে আড্ডা দে, আমিও আরো একজন মেয়ে ফেন্ড পেলাম ওর কারনে চারজন পেলাম সবার সাথে মেসেজে কথা বলতাম, তাদের মধ্যে দুইজন কে তাদের নাম লিখানো শামুক গিফট করলাম, এভাবে ছলচিলো হঠাত একদিন দেখলাম আমার পথম মেয়ে ফেন্ড এর সাথে কোতগুলো ছেলে কথা বলছে ও তদের সাথে একজোট হয়ে হাসাহাসি করতে লাগলো আমার কাছে জেনো কেমন যেনো মনে হলো, মনের মধ্যে চিন্তা একটা সে জেনো হারিয়ে না জায়, আস্তে আস্তে ওদের মাঝে কথার ধরন পাল্টে গেলো, সে এখন আর আমাকে জিগাস করেনা আমি কেমন আচি,ও কোথাও জেতে চায় এটা আমাকে বলেনা ওদেরকে বলে। আমি নিজেকে বলি আমাকে বল্লে কি হয় কেনো বলেনা, তখন আমিও ওর সাথে কথা বলা বন্ধ করে দি আস্তে আস্তে আমিও ওর তেকে দুরে সরেজায় তখন আমার ইংরেজি পাইবেট এর কিছু মেয়ে ফেন্ড এর সাতে চলাচল শুরু করি ওদের সাথে চা খাওয়া কেমন জানি জমে গেলো,এরপাকে আমি একজন মেয়ে কে পছন্দ করতে লাগলাম ওকে বলবো বলবো কিন্তুু কিভাবে বলবো বুঝতে চিনা তখন ইংরেজি পাইবেট এর একজন কে বলাম এখন একটা সম্যসা তাকে দেখলাম ঠিক কিন্তুু তার নাম জানা ছিলো না,এভাবে কেটে জায় ১ মাস। আমাদের পরীক্ষা শুরু হলো একটা পরীক্ষা দিতেই মহামারি সংক্রান্ত র কারনে কলেজে পরীক্ষা স্থগিত করা হলো আমি ছলে গেলাম বাড়িতে কেটে গেলো ৪ মাস কলেজ এ সপ্তাহে একদিন আসতাম কয়েকমাস পর জখন কলেজ আগের মতো চালু হলো তখন চিন্তা করলাম তাকে বলে দি আমি পছন্দ করি।আমার ভাগ্য এতটায় ভালো ছিলো জে ওকে আমি বলিনায় কারন ওর মহামারি র মধ্যে বিয়ে ঠিক হয়ে গেলো আমিও আর বলি নায়,আমাদের টেস্ট পরীক্ষা শেষ এখন আর আগের মতো ফেন্ড দের সাথে কথা হয়না ওদের বিয়ে হয়েজায়,
স্যার আমাদের কে সব শাখা মিলে এককরে দে ওখানে নতুনত্ব করে দুইজন হিন্দু মেয়ে ফেন্ড হয় ওদের সাথে কতা বলতে বলতে আরো কইজন মেয়ে ছেলে ফেন্ড হয় ওদের সবাইকে নিয়ে একটা মেসেঞ্জার গুরুপ খুলি,পতিদিন কথা বলতাম কিন্তুু মেসেজ করে না সরাসরি কলে সবাই সবাইকে দেখতাম।ভালো ভালোই দিন কাটছিলো HSC পরীক্ষা শুরু হলো তাও সবার সাথে কথা বলা বন্ধ হলো না মনে করলাম জেতদিন দুনিয়ায় আচি ততদিন কথাবলবো, কিন্তুু পরীক্ষা শেষ আর কথা বলা হয়না কেউ থাকলে কেউ থাকেনা সবাই কোথায় জেনো হারিয়ে গেলো, কথায় আছেনা কলেজ জেতো দিন বন্ধুত্ব ততদিন তাই হলো এখন আমিও কথা কম বলি নিজের দোকান নিয়ে পডে আচি দেখি বভিষ্যতে কি করা জায়,,,,,, আসসালামু আলাইকুম সবাই ভালো থাকবেন,,, আবার দেখা হবে,,,,,