যখন রাত তিনটায় কিছু করার থাকে না আর টাইম পাসের জন্য টিভি খুলে বসে Qaidi Band এর মত অখ্যাত একটা মুভি দেখতে বসি। এরপর কিছুদুর দেখার পর মনে হয় এই মুভিটাতে গভীর একটা মেসেজ দেয়ার চেষ্টা করা হয়েছে।
হতে পারে অভিনয় আর কাহিনী কোন বাস্তব ঘটনার সাথে একটুও মিল নেই। কিন্তু ছবিতে যে সত্যের কথা তুলে ধরার চেষ্টা করা হয়েছে তা কখনও অস্বীকার করা যাবে না।
বিনা বিচারে বা আন্ডার ট্রায়ালে জেলের ভেতর আটকে থাকে বন্দীর সংখ্যা কম নয়। কেউ অপরাধী আর কেউবা ঘটনার শিকার। ছবির কাহিনী ভারত বর্ষের, কিন্তু আমার মনে হয় এই ধরনের ঘটনা সারা পৃথিবীতেই সাধারন।
ছবির গানগুলো যথেষ্ট যত্ন নিয়ে করা, অভিনয় সাধারন মানের কিন্তু খারাপ নয় কোন ভাবেই। কাহিনী রচনায় কোথাও কোথাও গড়মিল আছে। ভালোবাসা, রোমাঞ্চ আর মুক্তির আকাংক্ষা হয়ত আরো ভালো ভাবে উপস্থাপন করা যেত, কিন্তু তাড়াহুড়ো করে গল্প বলতে গিয়ে সেটা বাদ পড়ে গেছে।
এই মুভির IMDB রেটিং ভালো না, কিন্তু নাচাগানা ওয়ালা অনেক স্বস্তা ছবি ভালো রেটিং পায়, কি অদ্ভুত!
এই রকম আরেকটা মুভির কথা আমার মনে পড়ে গেল Lucknow Central (2017)। সেখানে অবশ্য স্টার অভিনেতা ফারহান আকতার থাকার কারনে অনেক বেশি হাইলাইটেড হয়েছিল। দুটো মুভি একই বছরে রিলিজ হওয়া এবং প্রায় একই রকম মেসেজ দেয়। মুক্তির আনন্দ আর নির্দোষ হবার পরেও জেলের জীবন কেমন তার একটা ছোটখাট মনস্তাত্ত্বিক বিশ্লেষন।
দেখতে পারেন, আপনার সময় খারাপ কাটবে না। প্রেম ভালোবাসার মুভিতো অনেক দেখেন, এইটা দেখে একটু চিন্তা করেন।
মুভির কাহিনী সংক্ষেপ আর বললাম না আজ। ঘুমাতে যেতে হবে। মুক্তির ঘুম।
Qaidi Band (2017) - যে মুভি গভীর মেসেজ দেয়
-
সিনেমেটোগ্রাফী
-
অভিনয়
-
কাহিনী
-
গান
-
চরিত্র
Qaidi Band (2017) মুভি রিভিউ
কিছু মুভি আছে দেখলেই মনে হয় টাইম ওয়েস্ট, প্রথম যখন এই মুভিটা শুরু হল টিভিতে আমারও তাই মনে হয়েছিল। কিন্তু দেখার পর ধারনা বদলে যেতে থাকল। বন্দী জীবনের না বলা কথা আর মুক্তির জন্য আকুল অপেক্ষা, সব কিছুর এক ঝলক দেখতে পারবেন এই ছবিতে।