Fringe অসাধারন একটা সাই-ফাই টিভি সিরিজ
-
গল্প
-
চরিত্র
-
মিউজিক
-
গ্রাফিক্স
-
সিনেমেটোগ্রাফী
-
অভিনয়
Fringe টিভি সিরিজ রিভিউ
রহস্য রোমাঞ্চ আর সাই-ফাই টিভি সিরিজ যারা ভালোবাসেন Fringe টিভি সিরিজ তাদের ভালো লাগতে বাধ্য। যারা X-Files দেখেছিলেন আগে, এই টিভি সিরিজ আবার তাদের সেই কথা মনে করিয়ে দেবে নতুন আঙ্গিকে।
প্যরালাল ওয়ার্ল্ড, জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং, টাইম ট্রাভেল, ম্যাথমেটিকাল এনোমালি কি নেই এই টিভি সিরিজে? দর্শককে স্ক্রীনের সামনে বসিয়ে রাখার মত আইডিয়া ঠাসা আছে প্রতি পর্বে।
প্রথম এয়ার: সেপ্টেম্বর ৯, ২০০৮
শেষ পর্ব: জানুয়ারী ১৮, ২০১৩
নেটয়ার্ক: Fox Broadcasting Company
কাহিনী: J.J. Abrams, Alex Kurtzman, Akiva Goldsman, Roberto Orci, Jeff Pinkner, J. H. Wyman
কিশোর বয়সে যে টিভি সিরিজ আমাকে সব থেকে বেশি আনন্দ দিত তার নাম ছিল “এক্স-ফাইলস”। মোল্ডার আর স্ক্যালির অতিপ্রাকৃতিক ঘটনাবলীর রহস্য খুঁজে বেড়ানো তখন আমাকে বেশ আন্দোলিত করেছিল। কিছুটা সাই-ফাই, কিছুটা আধিভৌতিক সব কিছু মিলিয়েই কেমন যেন একটা রহস্যের আবহ তৈরি করেছিল সিরিজটা। ৯০ দশকের বিটিভির আমলে আমরা রহস্য রোমাঞ্চের একটা অন্যরকম স্বাদ পেয়েছি সেখানে। এক্স-ফাইলেসর সেই রহস্যময় মিউজিক এখনও কানে বাজে।
অনেকদিন পরে এরকমই আরেকটা টিভি সিরিজ দেখে পুলকিত হলাম, Fringe। ফ্রিঞ্জ ২০০৮ এর সেপ্টেম্বরে শুরু হয়ে ২০১৩ এর জানুয়ারী মাসে শেষ হয়। আমি দেখেছি ২০২০ সালে এসে, পুরো সিরিজ একসাথে ডাউনলোড করে। অন্যান্য সিরিজ দেখার সময় যেমন টেনে টেনে দেখতাম বা কিছুটা দেখার পর বোরিং লাগা শুরু হোত, ফ্রিঞ্জ দেখার সময় সেটা লাগেনি। বরঞ্চ পুলকিত হয়েছে এর পরে ঘটনার প্লট কোনদিকে আগাবে সেটা ভেবে।
মিউজিক খুব একটা মনকাড়া না হলেও মন্দ নয়। আর শুটিং এর লোকেশন গুলোও যথেষ্ট মনমুগ্ধকর। তবে মূল চমকটা হচ্ছে এর গল্পে। গল্পের একটা ধারাবাহিকতার সাথে সাথেই প্রতি পর্বে যুক্ত হয়েছে রহস্যের পরের পর্ব জানার কৌতুহল। একটা টিভি সিরিজের স্বার্থকতা এখানেই।
যেহেতু এটা টিভি সিরিজ তাই এর প্রতিটা গল্পের গল্প সংক্ষেপ বলে সময় নষ্ট করব না। মূল কাহিনীতে দেখা যায়, এফবিআই এর স্পেশাল এজেন্ট অলিভিয়া ডানহাম একজন অর্ধ-উন্মাদ পাগল বৈজ্ঞানিক ওয়াল্টার বিশপ এর সাথে মিলে ফ্রিঞ্জ ডিভিশনে আসা বিভিন্ন কেইসের সমাধান করে। এদের সাথে যুক্ত হয় ওয়াল্টার বিশপের পুত্র পিটার বিশপ।
পিটার বিশপকে যতটা চৌকশ আর বুদ্ধিদীপ্ত দেখানো হয়েছে সিরিজে সেখানে কিছুটা ম্লান হয়ে গেছে অলিভিয়ার চরিত্রটি। যদিও ঘটনার নায়ক তাকেই দেখানোর চেষ্টা করা হয়েছে, কিন্তু প্রতিটা রহস্যের সাথে জড়িয়ে ছিল তার পিতা ওয়াল্টার বিশপের অতীত জীবন।
প্যরালাল ওয়ার্ল্ড, এক্সপেরিমেন্টাল সাইন্স, কেমিস্ট্রি, লাভ-হেইট্রেড সব কিছুর একটা মিশেল আছে সিরিজে। একবার দেখতে বসলে উঠে আসা মুশকিল।
এক্স-ফাইলস দেখার সময় জানতাম এর প্রতিটা গল্প শেষ হলে কিছুটা অজানা রয়েই যাবে, মানে রহস্য শেষ হয়েও হবে না। এক্ষত্রে ফ্রিঞ্জ টিভি সিরিজ ব্যাতিক্রম। ফ্রিঞ্জে প্রতিটা কেইস সমাপ্ত হয় এবং দর্শক হিসেবে মনে একটা ভালো লাগা কাজ করে।
সাই-ফাই আর এডভেঞ্চার জেনারের যতগুলো টিভি সিরিজ আছে তার মধ্যে ফ্রিঞ্জকে উল্লেখযোগ্যের কাতারে রাখা যাবে। কিন্তু যতটা পাবলিসিটি এর পাবার কথা ছিল অদ্ভুত কারনে সেটা ফ্রিঞ্জ পায়নি।
আমার মত সাই-ফাই ভক্ত যারা আছেন, ফ্রিঞ্জ তাদের কাছে ভালো লাগতে বাধ্য। অনেক দিন পরে পুরনো স্বাদের একটা সাই-ফাই টিভি সিরিজ দেখে কৈশোরের মত রোমাঞ্চ অনুভব করলাম।