তুমি এসেছিলে মোর অবেলায়,
অসময়ে সময়ের গান শুনেছি বহুবার
অনঢ় তানপুরে
সে গানেই বেধেঁছিনু সুর
সকরুন সুরে
মেঘমল্লার রাগে ললিত সংগীতে।
তুমি এসেছিলে মোর অবেলায় ,
প্রথম প্রীতির শুদ্ধ বাঁধনে
প্রতীক্ষার প্রহর গুনতে গুনতে
অপেক্ষমান অপ্রসন্ন দৃষ্টি ভেঙ্গেছে
চকিত তুমি আমি নীলে
বুঝিনি তখন-
নীল সে যে বেদনার সমীপে।
তুমি এসেছিলে মোর অবেলায় ,
নয়নে নয়ন বিনিময় নিরবে
অপ্রস্তুত আমি তোমার কোমল প্রশ্নে
অলংকার কেন আমি পরিনি কর্ণে
বলেছিলে তুমি-
অলংকারে নারীর সৌন্দর্য বাড়ে
সেই থেকে নিজেকে সাজিয়েছি রঙজয়ী ভারে।
তুমি এসেছিলে মোর অবেলায় ,
তৃষিত বেদনা বক্ষে জড়ায়ে
বিদগ্ধ তুমি কিশোরী তনয়ার শুদ্ধ প্রেমে
প্রগাঢ় নিকুঞ্জসম প্রেমের ভূষণ
অধিষ্ঠিত তুমি অনুপম নন্দন
কিশোরী মেয়ের নিত্য প্রেমের অভিজ্ঞান
ভেবেছিলে তুমি এ কপটতা বড় ছল
অবজ্ঞাসম তোমার বিরাগদৃষ্টি
জানোনা প্রিয় –
নবপ্রেম নব অনুভূতি সে যে মদনদেবের সৃষ্টি ।
ঈর্ষিত যখন আমি সবার চোখে
স্রোতস্বিনী স্বরুপ আমি বিরুপ রণে
ভাবনায় বেধেঁছি ঘর তোমার সনে
বড় নির্মম বড় করুন এ বিচ্ছেদ
আমার শুদ্ধ প্রেমের শিরচ্ছেদ
অভিশাপ নয় , ভৎর্সনা নয়
মেনে নিয়েছি এ আমার ভাগ্য আমার অদৃষ্ট
তুমি রয়ে গেছো এ মনে হয়ে ক্ষমার পাত্র।
কেটে যায় দিন কেটে যায় মাস কেটে বছর
তুমি আছো ঠিক নীল দেয়ালের ওপারে
অনেক দুরে আমার দৃষ্টির বাহিরে
সাদা কালো এ বিদ্বেষপূর্ন শহরে
ভালো আছি খুব তুমি ভালো থেকো
সমাপ্ত করি এ আমার অতৃপ্ত মোহ।।
অদিতি তুলি