তোমার মনে আছে? আমি তোমাকে প্রায় বলতাম,
আমি আজ ঘুমাবো না,সারারাত জেগে
পলক নামানো ঘুমিয়ে থাকা তোমার দুটো চোখে চেয়ে কাটিয়ে দেবো রাত,
তুমি ঘুমোবে নিশ্চিন্তে, আমি পাহারা দেবো বসে তোমার পাশে, কোন শব্দদূষণ যেন তোমার কর্ণকুহরে এসে না বসে!
আহা! তুমি ঘুমোলে কী যে সুন্দর লাগে তোমায়,
মন চায় সঁপে দিই তোমার পানে আমায়।
তুমি শুধু হাসতে আমার কথা শুনে, তোমার ওই গালে টোল পড়া হাসি, আমি এখনো খুব ভালোবাসি, দেখি, শুধু কল্পনায় চেয়ে দেখি…
তোমার গালে টোল পড়া ওই পাগল করা হাসি।
জানো কি? সেদিন রাতে খুব বৃষ্টি হচ্ছিল বাইরে। ঝুমঝুম বৃষ্টির আওয়াজ শুনতে পেয়ে আমি তো উৎকন্ঠিত হয়ে ওঠি,আঁতকে উঠি এই ভেবে……,
যদি এ ঝুমঝুম আওয়াজে তোমার ঘুমের বিঘ্ন ঘটে?
জানো! আমি সেরাতে একফোঁটাও ঘুমোতে পারিনি।
ইশ! সেরাতে যদি আমি তোমার পাশে থাকতাম! বৃষ্টি ভেজা রাতে তোমার শিয়রে দাঁড়িয়ে কিংবা শিথানের পাশে বসে তোমার পলক নামা চোখদুটোর দিকে তাকিয়ে থাকতে পারতাম!
ওই চোখে জাদু আছে, আমি মাতাল হয়ে যাই তোমার ওই চোখের জাদু টোনায়! তুমি যখন আমার দিকে তাকাও, আমি হারিয়ে যাই তোমার ওই চোখের গহ্বরে! কী এক অচেনা স্পর্শের আদলে।
কী ভাবছো? আমি পাগল হয়ে গেছি! আরে না! আমি তোমাতে ডুব দিয়ছি। ভাসার কোনো ইচ্ছে নেই। ভেসে কী করবো বলো?
কাকে দেখাবো আমার এ পাগল মনটাকে,
কাকে বলব আমি পাগলের মতো ভালোবাসি তোমাকে,
কাকেই বা পরাবো, তোমায় নিয়ে লেখা কবিতা, গানের ছন্দে ছন্দে পুঁতি গাঁথা মালা।
কিন্তু তুমি যে আজ অন্যের ঘরে, অন্যের সংস্পর্শে!
আচ্ছা, সে কি আমার মতো তোমায় ভালোবাসে?
ধুর কী বকছি যা-তা!
তুমি ভালো থেকো, আমায় মনে না রাখলেও মনে রেখো আমার স্মৃতিগুলো!
কারণ স্মৃতিগুলো নিয়েই আছি বেঁচে আছি,
জানি না থাকতে পারবো কতদিন!