জীবনের শ্লেটে মুছে যাওয়া অক্ষরগুলো
হৃদয়ের তৃতীয় পৃষ্ঠায় অর্থহীন শব্দ বুনে;
এক্কাদোক্কা খেলতে থাকে সময়,
ফসলি জমিতে বাজ পড়ার শব্দে
পুড়ে যাওয়া কৃষাণীর চোখের মতো
নির্ঘুম রাতের নীরবতায়
জানালার কাঁচ বেয়ে নেমে আসা
অবিরত বৃষ্টির জলও
কিভাবে যেন পুড়তে থাকে।
দাবার চালের মতো পাহাড়গুলো
এখান থেকে ওখানে সরতে থাকে
আর জীবন একবার মৃত্যুর হতে চায়
আরেকবার ঘোড়ার আড়াই চালের মতো
পেয়ে বসে জীবন।
বৃষ্টি থামে।
আকাশের কোণে জমতে থাকা আলোয়
রোদের ঝলক,
মানে আরও একটা দিন,
অথচ যেখানে সবই অর্থহীন।
পাহাড় হয়ে যায় ঘোড়া,
আকাশ হাতি,
অপেক্ষা কেবল সাড়ে তিন হাত মাটি।
বাংলাদেশের শেষ প্রান্তের বিখ্যাত এক জেলা ঠাকুরগাঁয়ে তার জন্ম। শৈশব থেকেই কবি নন, তবে জীবন তাকে উপহার দিয়েছে অনেক কবিতা। জীবনের প্রয়োজনে প্রিয় স্বদেশ আর শৈশবের টাঙ্গন থেকে দূরে আছেন এই কবি।
নিপা খান এ প্রজন্মের কবি। শব্দের বেড়াজালে বেঁধে নিয়েছেন প্রতিবাদ আর প্রতিশ্রুতির হাতিয়ার গুলোকে। “বুনো মেঘ” “অর্ধেক দেবদারু” তার উল্লেখযোগ্য কাব্যগ্রন্থ।