পথ চলতি ভীষণ ব্যস্ততার মাঝেও
হুট করে টুপটাপ স্মৃতিতে ঝরে পড়ে যে শহরটা
ওকে ভালোবাসাই যায়।
অবেলার রোদ্দুরের চোখে চোখ রেখে
বলা তো যায়ই “ভালোবাসি”।
পাড়ার মোড়ে কোথা থেকে যেনো
তুমি তুমি একটা গন্ধ লেগেই থাকে,
আর তাই কোনো কোনো ভর সন্ধ্যায়
মোড়ের ল্যাম্পপোস্টটার আলোর দিকে তাকিয়ে
ঠোঁটে এক চিলতে হাসি নিয়েও
আনমনে বলে ওঠা যায় ভালোবাসি।
শৈশবের সবুজ খেলার মাঠটা
বিচ্ছিরি বাউন্ডারিতে আবদ্ধ হয়ে গেছে দেখে
একটা মন খচখচে ভাব নিয়েও
ভালোবাসি বলে যে শব্দটা মুখ ফসকে বেড়িয়ে আসে
আজীবন ঐ ভালোবাসাটা কিভাবে যেন নবীনই থাকে,
জং ধরে না কখনো ওটায়।
শহর ঘেঁষা ভীষণ ঝগড়াটে যে নদীটা
বহতা সময়ে ওর জরাজীর্ণ মুখটার দিকে তাকিয়ে
বুক-পাঁজর ভেঙে গুড়োগুড়ো হয়ে গেলেও
সজোরে বলে ওঠা যায়-
তবুও তোকেই ভালোবাসি,
এবার কত যুদ্ধ করবি কর।
আসলে সমস্ত অভালোবাসা জুড়েও
হৃদয়ের মণিকোঠায় কেবল ভাসতে থাকে-
ভালো তো বাসিই,
ভালো তো বাসিই।
তোর সমস্ত অনুপস্থিতিতা, ঝড়-ঝঞ্ঝাট, ভাঙা-গড়াসহ
শুধু তোকেই ভালোবাসি।
কবিঃ বাংলাদেশের শেষ প্রান্তের বিখ্যাত এক জেলা ঠাকুরগাঁয়ে তার জন্ম। শৈশব থেকেই কবি নন, তবে জীবন তাকে উপহার দিয়েছে অনেক কবিতা। জীবনের প্রয়োজনে প্রিয় স্বদেশ আর শৈশবের টাঙ্গন থেকে দূরে আছেন এই কবি।
নিপা খান এ প্রজন্মের কবি। শব্দের বেড়াজালে বেঁধে নিয়েছেন প্রতিবাদ আর প্রতিশ্রুতির হাতিয়ার গুলোকে। “বুনো মেঘ” “অর্ধেক দেবদারু” তার উল্লেখযোগ্য কাব্যগ্রন্থ।