শহরের কোলাহলে কত লোকের ভীড়ে
শুধু একটি মুখ বারবার চোখে ভাসে
মনে হয় ছুটে চলে যাই অশরীরী হয়ে
দূর দিগন্তে স্বপ্নের সীমানা ছাড়িয়ে
আলতো পরশে তোমার চিবুক ছুঁয়ে
আলপনা এঁকে দেই কপল জুড়ে।
পারিনা কারন আমি তো নই অশরীরী
আমি মানুষ রক্ত মাংসের শরীরী
তুমিও মানুষ তবে একটু আলাদা
তোমার স্বপ্ন, ভালোবাসা সবই আলাদা
তোমার আকাশেও মেঘের ভেলায়
জোছনার পালকি আসে নতুন প্রভায়
গোলাপের জলসায় শুভ্র জবার ভীড়ে
সবুজ ঘাসের উপর ভোরের শিশিরে
নির্জন গোধূলির পরে সন্ধ্যা বেলায়
আছো তুমি কবির কল্পনায়
রোজ নিশিতে ময়ুর পালঙ্ক সাজাই
জুঁই চামেলি মাধবী মালতী ফুলে
অষ্ট আঙ্গুল বাশের বাঁশি বাজাই
বাউল মনের উদাস সুরে।
কত কাল কত বেদনায় রইবো
হৃদয়ের রক্ত ক্ষরণ কত সইবো
গাঁয়ের বধু ছড়িয়ে মধু উঠোন আঙ্গিনায়
আবর্জনা ঝেড়ে মুছে ফেলে দেয়।
ময়লা কাপড় পোশাক যেমন
ডিটারজেন্ট পাউডার দিয়ে যায় ধোয়া
তেমনিভাবে হৃদয়ের যত ব্যথা
সাবান দিয়ে যেত যদি ধোয়া
একটাই জীবন হতো আবার সুখ গাঁথা
ঘুচে যেতো জড়া, সূর্য স্নানে শুদ্ধ হতো ধরা।
এম.হুমায়ুন কবির, জন্ম ৩০জুন ১৯৮২ নাটোর জেলায় অন্তর্গত বড়াইগ্রাম থানার খিদিরপুর গ্রামে। পড়াশোনা এস.এস.সি নিশ্চিতপুর উচ্চ বিদ্যালয়, স্নাতক বড়াইগ্রাম ডিগ্রী কলেজ,স্নাতকোত্তর এডওয়ার্ড গভঃ কলেজ, পাবনা।
বর্তমান নিবাস হবিগঞ্জ সদর। একটি ঔষধ কোম্পানীর কর্মকর্তা। প্রিয় শখ কবিতা পড়া এবং লেখার প্রয়াস ।