বৃষ্টি হলে শহরটা
ভীষণভাবে প্রেমিকার অভাবে ভোগে,
নিঃসঙ্গ হাঁটতে হাঁটতে সবুজে হারিয়ে যায়।
একা করে যায় বিকেলগুলোকে,
সন্ধ্যেগুলো কাঁদে।
মাঝে মাঝে পুরো শহর
প্রেমিকের রুমাল হয়ে যায়।
চায়ের দোকানটা হয়ে যায় শূন্য।
বিশাল জনসমুদ্রও ফাঁকা মনেহয়।
ভীষণ বর্ষার ধ্যানমগ্ন বাতাসে
বেলি ফুলের সুবাস মনেহয় বাউন্ডুলে।
একটু একটু করে একদিন
ছাইও পুড়ে ছাই হয়,
কোথাও কেউ থাকে না,
দরজায় তালা ঝুলে।
একদিন বৃষ্টির কোণে বৃষ্টি নামে,
ছিঁড়ে যায় পুরো শহর,
ছিঁড়ে যায় শব্দরা,
ছিঁড়ে যায় নিঃশ্বাস।
শুধু এখানে ওখানে –
ভেসে থাকে কিছু শুভ্রতা,
আর ভিজে ওঠে হাসি।
বাংলাদেশের শেষ প্রান্তের বিখ্যাত এক জেলা ঠাকুরগাঁয়ে তার জন্ম। শৈশব থেকেই কবি নন, তবে জীবন তাকে উপহার দিয়েছে অনেক কবিতা। জীবনের প্রয়োজনে প্রিয় স্বদেশ আর শৈশবের টাঙ্গন থেকে দূরে আছেন এই কবি।
নিপা খান এ প্রজন্মের কবি। শব্দের বেড়াজালে বেঁধে নিয়েছেন প্রতিবাদ আর প্রতিশ্রুতির হাতিয়ার গুলোকে। “বুনো মেঘ” “অর্ধেক দেবদারু” তার উল্লেখযোগ্য কাব্যগ্রন্থ।