বইয়ের নামটা শুনলেই কেমন যেন একটা প্রশ্ন জাগে। সেরা সায়েন্স ফিকশন গল্প না পচা গল্প সেটা পাঠক বলবে। আগে থেকেই কিভাবে একটা বইয়ের নাম সেরা হয়?
আসলে এটা কোন মৌলিক বই নয়। পৃথিবী বিখ্যাত সাইফাই লেখকদের ১০ টি গল্পের অনুবাদ। আমি বইটা হাতে তুলে নিয়েছিলাম মূলত অনুবাদকের নাম দেখে, “খসরু চৌধুরী“। কিশোর বয়স থেকেই তার অনুবাদ আমি পড়ি। পৃথিবী বিখ্যাত বেশ কিছু ক্লাসিক বই আমি পড়তে পেরেছি তার অনুবাদ করার ফলেই। তখনতো ইংরেজী অত ভালো পড়তে পারতাম না। কৃতজ্ঞতা তার কাছে।
তার অনুবাদ নিয়ে ঝামেলা করা আমার সাজে না। তবে এখন যখন মূল গল্পগুলো পড়া থাকে ইংরেজী ভাষায়, তখন কেমন যেন একটা ছন্নছাড়া ভাব লাগে বাংলা অনুবাদে। আগে যেটাতে গদ্গদ হয়ে যেতাম সেটাই এখন ভাষার ভুল প্রয়োগ মনে হয়।
গল্প আছে মোট দশটা। তার মধ্যে আইজাক আসিমভের দুটি গল্প আপনার কাছে অন্যরকম লাগবে। বিশেষ করে তার ভবিষ্যত নিয়ে চিন্তাভাবনা তার প্রতিটা উপন্যাসেও দেখেছি আমরা।
এইচ.জি.ওয়েলস এর জীবনু চুরি গল্পটা যতটা না সাইফাই জেনারের তার থেকে বেশি রম্য।
হেনরি কাটনারের গল্পটা অনেক আগেই আমি রহস্য পত্রিকায় পড়েছিলাম। সেই পুরনো স্বাদ আছে গল্পে। মানুষের সম্পদের অপ্রতুলতা আর লড়াইয়ের গল্প।
সব থেকে বড় গল্পটা হচ্ছে “জেরাল্ড কার্শ” এর “মৃত্যুই হবে সঙ্গী“। বর্তমান বিশ্বের একোটা ছায়া বলতে পারেন গল্পটাকে। তবে এটার অনুবাদ বোধহয় আরো ভালো ভাবে করা যেত। মাঝখানে খেই হারিয়ে ফেলেছিলাম একবার।
গল্প সংক্ষেপ বলার কিছু নাই একটা গল্প সংগ্রহের। প্রচ্ছদ যাচ্ছেতাই। কিন্তু বাঁধাই এবং মুদ্রনে পাঞ্জেরী পাবলিকেশন যথারীতি তাদের মান বজায় রেখেছে। অহেতুক ফন্ট বড় বা ছোট করে দাম এবং পৃষ্ঠা সংখ্যা বাড়ানো হয়নি।