কেউ রাখে নাহ্–কেউ রাখে তাঁর খবর,
সে-যে আসে যায়- ঋতুকূল আষাঢ়ে থৈথৈ ছন্দে,
ভরোভরো চারদিক ছেয়ে
বরিষণ থরো কাঁপিছে ভূধর
ধ্যানী তাঁহারে।
শ্যাম-প্রেম-ভোরে- শূন্যে সমুত্থিতা-
আকাশ সম্ভবে-
সুন্দর পদ্ম।
যতনে ব্রজরতন।
দোহা’ই———–
শুভ্রবর্ণতলে।
তারা ও চাঁদের প্রতিবিম্বপাতে-
সে-যে আসে যায়, শিউরে শিরেধরি।
জীবন-যৌবন–তাপিনী—
উর্দ্ধশ্বাসে।
মহাক্ষেপে- প্রচন্ড ক্ষোভে!
পেশল উরস হানি- কোমল প্রেমে, বক্ষঃস্থলে করাঘাতে স্পন্দনে ছিটকে-;
প্রভাতিলো বিভাবরী,আমার অভিলাষী মেঘ।
শরমের ফাঁসিকাঠ,
লজ্জ্বার বাঁধন ছিড়েখুঁড়ে “কালে পিও” -ইন্দ্রচাপে।
সে-যে আসে যায় এমন –
যমদূত পীড়য়ে পুলিনে,
ঐ সে- তাঁহার নির্বন্ধে,
আমার অভিপ্রায়ে,
তরলীকৃত অগ্নীস্রোতে ভীষণভাবে।
লয়িতে আমারে–
সে-যে আসে শিউরে- ইন্দ্রজিৎ
অন্তঃস্থিত অন্তঃপটে,কাঁদতে কাঁপিছে হিয়া থরো,ভয়তরাসে।
সে-আসে- নীলবর্ণ-তরঙ্গপূর্ণে-
স্নানকর দেহে-
আয়াসীতে
পর্শে।
লয়িতে আমারে–
আমারে।
হেপী ভৌমিক, সিলেটে বসবাস করছেন।