সেরা কৌতুক -১


সেরা কৌতুক -১ 1

বল্টুর খামারে অনেকগুলো মুরগি হয়ে গেছে, কিন্তু মোরগ কেবল একটাই, তাও বেশ বুড়ো হয়ে গেছে। একটার পর একটা মোরগ আনা হচ্ছে, একটাও টেকে না।
অতঃপর একদিন শততম মোরগটা আনা হলো, একটু ইয়াং দেখে! মোরগটা বেশ এগ্রেসিভ, এসেই বুড়া মোরগকে বললো, ‘চাচা মিয়া, সাইডে যান, যা করার আমি একলাই করবো।’
বুড়া মোরগ বললো, ‘বাবা, আমার বয়স হয়েছে, অবসরে তুমি না বললেও যাবো। শুধু একটা রিকোয়েস্ট রাখো। আমি জানি এখানের সব টেকনিক, কোন মুরগির কী পছন্দ সব তোমারে বলে দেবো।’
: জলদি কন, সময় দশ সেকেন্ড। আমাকে কাজে নামতে হবে।
: আমার জীবনের শেষ ইচ্ছা, আমি একটা দৌঁড় দেবো, তুমি দৌঁড়ায়ে আমারে ধরবা!
এই বলে বুড়া মোরগ দিলো দৌড়! ইয়াং মোরগ ভাবলো, এটা কি কোনো বিষয় নাকি! সে সঙ্গে সঙ্গে দৌড় দিলো বুড়া মোরগের পেছনে।
ঠিক তখনই, কোত্থেকে কী। ধুম করে মালিক বল্টু গুলি করে ইয়াং মোরগটারে মেরে ফেললো। মেরে নিজে নিজেই আফসোস করে বললো, “শালা মোরগ আনি মুরগির জন্য, আর এরা সবগুলা দৌড়ায় এই বুড়া মোরগটার পিছে পিছে।

এক সাংবাদিক এক কৃষক এর সাক্ষাতকার নিচ্ছে –

সাং: তুমি ছাগল দুটোকে কি খেতে দাও ?

কৃষক : কোন ছাগলটা কে, সাদা টা কে না কালা টা কে?

সাং: কালা টা কে?

কৃষক : ঘাস

সাং: আর সাদা টা কে ?

কৃষক : ওটাকেও ঘাস খেতে দিই।

সাং: তুমি ছাগল দুটোকে কোথায় বেঁধে রাখ ?

কৃষক : কোন ছাগলটা কে, সাদা টা কে না কালা টা কে ?

সাং: কালা টা কে?

কৃষক : গোয়ালে একটা খুঁটির সাথে।

সাং: আর সাদা টা কে?

কৃষক : ওটাকেও গোয়ালে ওই একই খুঁটির সাথে।

সাং :তুমি ছাগল দুটোকে কি দিয়ে পরিস্কার রাখ?

কৃষক : কোন ছাগলটা কে, সাদা টা কে না কাল টা কে?

সাং: কালা টা কে?

কৃষক : জল দিয়ে চান করাই।

সাং: আর সাদা টা কে?

কৃষক : ওটাকেও জল দিয়ে চান করাই।

সাংবাদিক (প্রচন্ড রেগে গিয়ে) : দুটো ছাগল এর সাথেই যখন সবকিছুএকই রকম হচ্ছে তখন বার বার আমাকে জিজ্ঞাসা করছো কেন যে সাদা ছাগল টা না কাল ছাগল টা ?

কৃষক : কারন কালা ছাগল টা আমার।

সাংবাদিক : আর সাদা ছাগল টা ?

কৃষক :–ওটাও আমার।…

দুই জন লোক বাসে তুমুল ঝগড়া হচ্ছে।
এক জন বললঃ মুখ সামলে কথা বলুন। না হলে বত্রিশ পাটি দাঁত এক চড়ে খুলে ফেলব।
অপরজন বললঃ- এক চড়ে আপনার চৌষট্টি পাটি দাঁত খুলে পকেটে পুরে দেব।
অল্পবয়সী এক ছেলে এ কথা শুনে বলল, দাঁতই তো মোটে বত্রিশ পাটি, চৌষট্টি পাটি খুলবেন কী করে?
তখন ঐ লোক বললঃ – আমি জানতাম আপনি আমাদের কথার মাঝে নাক গলাবেন। তাই আপনার দাঁতের পাটি হিসাব করেই কথাটা বলেছি।

একবার এক গরু বিক্রেতা কোরবাণীর পশুর হাট থেকে গরু নিয়ে বাড়ী ফেরার পথে ডাকাতে ধরেলো-
ডাকাতঃ-এই শালা, কী কী আছে দে!
গরু বিক্রেতাঃ ভাই, আমার কাছে কিছু নাই !
ডাকাতঃ কিছু নাই কেন ?
গরু বিক্রেতাঃ ভাই,গরুটা বিক্রি করতে পারিনাই ।
ডাকাতঃ গরুটা বিক্রি করতে পারস নাই কেন ?
গরু বিক্রেতাঃ ভাই,গরুটার দাম কম বলেছে, তাই বিক্রি করিনাই ।
ডাকাতঃ এই শালা, গরুটার দাম কম হলে আমরা টাকা কম পেতাম, তুই গরুটা বিক্রি করলিনা কেন, সেটা বল?

প্রথমবারের মত সমুদ্র দর্শনে বের হয়েছেন পদার্থবিদ, জীববিদ এবং রসায়নবিদ।

পদার্থবিদ সমুদ্রের বড় বড় ঢেউ দেখে মোহিত হয়ে ঢেউয়ের ফ্লুইড ডাইনামিক্সের উপর গবেষণা করার কথা চিন্তা করে সাগরে চলে গেলেন। যথারীতি তিনি ডুবে গিয়ে আর ফিরলেন না।

জীববিজ্ঞানী সমুদ্রের ফ্লোরা-ফনার উপর গবেষণা করার জন্য সমুদ্রে গেলেন, কিন্তু তিনিও ঐ পদার্থবিদের মত সাগরে গিয়ে আর ফিরলেন না।

বহুক্ষণ ধরে বাকী দুইজনের জন্য অপেক্ষা করে রসায়নবিদ শেষে পর্যবেক্ষণ লিখলেন, ”পদার্থবিজ্ঞানী এবং জীববিজ্ঞানী উভয়ই সমুদ্রের পানিতে দ্রবনীয়”

সেরা কৌতুক -১ 2

মধ্য রাতে শহর থেকে অনেক দূরে হাইকোর্টের এক উকিলের গাড়ি বিগড়ে গেল I অনেক খোজাখুজির পর একটা Farm House -র সাইন বোর্ড চোখে পড়ায় একটু আশার আলো দেখতে পেলেন I তিনি সেই Farm House -র দিকে গেলেন একটু সাহায্যের প্রত্যাশায় I

সেখানে গিয়ে ডাকাডাকি করতেই এক সুন্দরী মহিলা বেরিয়ে এলেন – দেখুন আমি এখানে একা থাকি, গ্যারেজ তো আর সকালের আগে খুলবে না, কারণ ওরা গ্যারেজ বন্ধ করে চলে গেছে I আপনাকে সকাল পর্য্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে I

উকিল বললেন– ঠিক আছে, কিন্তু আমি আপনার কাছে অনুরোধ করছি পুরো রাতটা কাটাবার জন্য দয়া করে আমাকে একটু স্থান দিন I

সুন্দরী মহিলা বললেন — কিন্তু স্যার, আমি যে এখানে একা থাকি I

উকিল বললেন– আপনার ভয় পাবার কোন কারণ নেই, আমি একজন হাইকোর্টের উকিল I

সুন্দরী মহিলাটি বললেন– কিন্তু স্যার, এখানে শুধু একটাই বেডরুম আছে এবং সেটা আমি ব্যবহার করি I

উকিল বললেন– বললাম তো ভয়ের কিছুই নেই, আমি হাইকোর্টের উকিল I

তখন তারা দুজন বেডরুমে ঢুকার পর মহিলাটি বললেন– কিন্তু স্যার এখানে তো একটাই বেড আছে I

উকিল বললেন– ভয়ের কিছু নেই, আমি হাইকোর্টের একজন উকিল I

অতপর তারা একজন আরেকজনের দিকে পেছন ফিরে একই বেডে শুয়ে রাতটা কাটিয়ে দিলেন I

পরদিন সকালে উঠে উকিল ওই মহিলার সাথে ফার্ম হাউসের দিকে এক চক্কর দিলেন I তারা দেখলেন ফার্ম হাউসের পাশে একটা মুরগির খাঁচা পড়ে আছে I খাঁচাটির কাছে গিয়ে উকিল দেখলেন, সেখানে ১০ টা মুরগী আর ৬০ টি মোরগ রয়েছে I উকিলের মনে একটা খটকা লাগলো I

তিনি ওই মহিলাটিকে বললেন– ৬০ টা মোরগ আর মাত্র ১০ টা মুরগী ?? আপনার মনে কি কোন খটকা লাগছে না ?

মহিলাটি বললেন– এতে খটকা লাগার কি হলো ? এই ৬০ টি মোরগের মধ্যে মাত্র ১০ টিই কাজের I

উকিল জিজ্ঞেস করলেন– তাহলে বাকি ৫০ টা ?

মহিলাটি বলল– বাকীরা সব হাইকোর্টের উকিল I

১ম প্রতিবেশিঃ আপনি টাকার বিনিময়ে আপনার ভোট বিক্রি করে দিলেন? ছিঃ ছিঃ!

২য় প্রতিবেশিঃ আরে ভাই বোঝেন না কেন, ভালো কী খারাপ প্রার্থী তা যাচাই করতেই তো টাকাটা নিলাম।

সেরা কৌতুক -১ 3

সৈয়দ মুজতবা আলী কলকাতার এক স্টেশনারি দোকানে গিয়ে জিজ্ঞেস করলেন, ডায়মন্ড বলপেন আছে? সেলসম্যান মুখের উপর বলে দিল, নেই। চলে যাচ্ছিলেন, নিজেই ফিরলেন। জিজ্ঞেস করলেন, অন্য কী বলপেন আছে? সেলসম্যান বললো, অনেক আছে ! পাওয়ার, সুলেখা, ব্রাইট……সৈয়দ মুজতবা আলী তাদের বুঝালেন সেলসম্যানশিপ কী? যখন তিনি জিজ্ঞেস করছিলেন ডায়মন্ড বলপেন আছে কি না? তাদের বলা উচিত ছিল, ডায়মন্ড বললেন নেই তবে পাওয়ার, ব্রাইট, সুলেখা…ইত্যাদি আছে।ক্রেতাকে বিকল্প না দেখিয়ে বিদায় করাটা ঠিক না। সেলসম্যানরা লজ্জিত হল, কিন্তু শিখলো।

কিছুক্ষণ পর সাহিত্যিক অন্নদাশঙ্কর রায় এসেছেন। জিজ্ঞেস করলেন টয়লেট পেপার আছে? সৈয়দ মুজতবা আলীর দীক্ষিত সেলসম্যান উত্তর দিল, টয়লেট পেপার একটু আগে শেষ হয়ে গেছে, তবে শিরিশ পেপার আছে, দেব?

১০

একবার একটি প্লেনে যাত্রীরা উঠছে। আসনে বসবার পর যাত্রীরা দেখল যে তারা সবাই একে অপরের পরিচিত। আরও অবাক করার বিষয় হলো যে তারা সবাই ক্লাসমেট। এমনকি তাদের সাথে শিক্ষকও রয়েছে।

ব্যাপার কি? তারা একে অপরকে জিজ্ঞেস করে জানতে পারলো তাদের অমুক এক বন্ধু ফ্রী টিকেট দিয়েছে। তারা সেই বন্ধুকে খুঁজে বের করে ধন্যবাদ দিতে লাগল এবং টিকেট দেবার পেছনে কারণ জিজ্ঞেস করতে লাগল।

সেই বন্ধুটি সহাস্যে বলতে লাগল যে, এই প্লেনটি তার ডিজাইনে নির্মিত। একারণে প্লেনটির প্রথম যাত্রায় সে তার সহপাঠী সবাইকে ফ্রী টিকেট দিয়েছে।

এই কথা শুনে তার সকল বন্ধু আতঙ্কে দৌড় দিয়ে প্লেন থেকে নেমে গেল। কেন? তাদের এই বন্ধুটি ছিল ক্লাসের সবচেয়ে ফেলটুস মার্কা ছাত্র। তার ডিজাইনের প্লেনে চড়া আর যমের দুয়ারে গিয়ে কড়া নাড়া একই কথা।

এসব দেখে ডিজাইনার বন্ধুটির মন সেরকম খারাপ হয়ে গেল। মনক্ষুণ্ন হয়ে সে যখন ককপিটের দিকে আসছিল তখন দেখল তার শিক্ষক এখনও রয়ে গেছে। সে ভাবল, আর কেউ না বুঝলেও তার শিক্ষক তাকে বুঝতে পেরেছে।

খুশি মনে সে শিক্ষকের পাশে গিয়ে বসল। বলল, স্যার, সবাই যে ভয় পেয়ে চলে গেল। আপনি যে গেলেন না?

শিক্ষক বলল, তোর ক্ষমতা কতদূর আমার জানা আছে রে। তোর ডিজাইনের এই প্লেন ধ্বংশ হবে কি, এটা যে উড়বেই না।

মতামত দিনঃ