হলিউড মুভিতে দ্যা রক খ্যাত ডোয়েন জনসন এর থাকা মানেই বড় ধরনের ধামাকা। আমার মত অনেকরই যারা রেসলিং দেখতেন তাদের পছন্দের নায়ক এই ডয়েন জনসন।
ডোয়েন জনসন (দ্যা রক) থাকা মানেই মুভি হিট। আমার অন্তত আশা থাকে ভালো অভিনয় আর চমৎকার কাহিনী দেখার। কিন্তু এবারের মুভি Rampage (2018) দেখার পর একই সাথে বোরিং এবং হতাশ হয়েছি।
মুভি দেখেই আমার স্পাইডারম্যানের কথা মনে পড়ে গেছে। সেখানেও এই ধরনের জিন মিউটেশনের কাহিনী দেখেছি। তারপর আরো কয়েকটা মুভির নাম বলিঃ Planet of the Apes, Godzilla ইত্যাদি।
সব জায়গাতেই খারাপ মানুষেরা গরিলা কিংবা অন্য প্রানীর উপর ড্রাগস এক্সপেরিমেন্ট চালায় এবং তারপর শুরু হয় ব্যপক ধ্বংসযজ্ঞ। সবশেষে নায়কের দ্বারা পৃথিবী উদ্ধার।
সেই একই কাহিনী এখানেও-
ডোয়েন জনসন এখানে ডেভিস হিসেবে থাকে, সে একজন প্রাইমেটোলজিস্ট। মানুষের থেকে তার গরিলার সাথে ভাব বেশি। কারন মানুষ বোকা!
তার প্রিয় গরিলা যখন দুষ্ট কর্পোরেশনের জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং এর খপ্পরে পড়ে তখন সে পৃথিবী রক্ষার দায়িত্বব নিজের হাতে তুলে নেয়। সেই সাথে নিজের প্রিয় গরিলাটিকেও রক্ষা করে। এই গরিলা আবার সারকাজম জানে। ব্যাপক বিনুদুন।
এইরকম গাঁজাখুরী কাহিনী আমদের ঢাকাই ছবিতে ভর্তি, আর বলিউড কিংবা তামিল এর কথাও বাদ যাচ্ছে না। হলিউডের একটা জিনিস খালি আলাদা, সেটা হল এর প্যাকেজিং।
তাদের অভিনয়, গ্রাফিক্স এবং ডায়লগ সব দিক দিয়েই তারা বেটার। কিন্তু বিশ্বাস করেন আর নাই করেন এই মুভিতে ডোয়েন জনসন বাদে আর দেখার মত কিছুই নেই। সেই একই পুরান মদ, খালি নতুন লেবেলিং।
আইএমডিবি রেটিং দেখলাম ৭ এর উপরে। কেমনে কি? পাবলিক কি এতই বিনোদন খোর হয়ে যাচ্ছে নাকি ইদানিং?
সবশেষে এটা বাচ্চাদের নিয়ে দেখার মত একটা একশন ফ্যামিলি ড্রামা। গ্রাফিক্সের কাজ যথারিতি এ প্লাস ক্যাটাগরির।
RAMPAGE (2018): মুভি রিভিউ
-
কাহিনী
-
অভিনয়
-
গ্রাফিক্স
সংক্ষেপ
বিশ্বাস করেন আর নাই করেন এই মুভিতে ডোয়েন জনসন বাদে আর দেখার মত কিছুই নেই। সেই একই পুরান মদ, খালি নতুন লেবেলিং। গ্রাফিক্সের কাজ বাদ দিলে এর ডায়লগ আর কাহিনী পাশ করার কথাই না। তাও চলে কারন পাবলিক খায়।