Replicas (2018) - সাইফাই মুভি রিভিউ
Movie title: Replicas (2018)
Movie description: সিনথেটিক বায়োলজি নিয়ে কাজ করা বিজ্ঞানী তার পরিবার নিয়ে উইকেন্ডে যাচ্ছিলেন ছুটি কাটাতে। যাত্রা পথে এক মর্মান্তিক সড়ক দূর্ঘটনায় পড়েন তিনি। তার স্ত্রী এবং তিন সন্তান মারা গেলেও অলৌকিকভাবে বেঁচে যান বিজ্ঞানী ভদ্রলোক। কোনভাবেই তিনি পরিবারের সদস্যদের এই চলে যাওয়া মানতে পারছিলেন না। তার সহকর্মী ক্লোন বায়োলজিস্টের সাথে মিলে তিনি তার পরিবারকে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করেন প্রকৃতির নিয়মের বিরুদ্ধে গিয়ে।
Date published: October 25, 2018
Country: ইউএসএ (USA)
Duration: ১ ঘন্টা ৪৭ মিনিট
Author: Stephen Hamel
Director(s): Jeffrey Nachmanoff
Actor(s): Keanu Reeves , Alice Eve, Thomas Middleditch , John Ortiz, Emjay Anthony, Emily Alyn Lind, Aria Lyric Leabu
Genre: সায়েন্স ফিকশন, SciFi
-
গল্প
-
অভিনয়
-
মিউজিক
-
সিনেমেটোগ্রাফি
-
গ্রাফিক্স
রেপ্লিকা সাধারন মানের একটা সায়েন্স ফিকশন
আমি শুধু মাত্র কিয়ানু রিভস আছে বলেই এই মুভিটা দেখতে বসেছি। যখনই কিয়ানু তার চেহারা কোন মুভিতে দেখায় আমার ব্রেইন ধরে নেয় মারদাঙ্গা কিছু একটা হলেও হতে যাচ্ছে। কিন্তু অত্যন্ত পরিতাপের বিষয় এই মুভি দেখে আমি হতাশ হয়েছি।
আপনি আমার নিয়মিত পাঠক/পাঠিকা হলে জানবেন আমি সাই-ফাই কনসেপ্টের মুভির কি ভীষন ভক্ত! আর কিয়ানু রিভস আছে এরকম সাইফাই মানে অভিনয় আর ইউনিক আইডিয়ার চমৎকার একটা মিশেল। অথচ Replicas (2018) কোন নতুন আইডিয়া নিয়ে আসতে পারেনি। অনেকটা মাইনোরিটি রিপোর্টের আপডেট ভার্সন।
ছবিতে কিয়ানুর চরিত্রের নাম থাকে উইলিয়াম ফস্টার। সে একজন নিউরোসায়েন্টিস্ট, সিনথেটিক বায়োলজি নিয়ে একটা প্রাইভেট কোম্পানির আন্ডারে কাজ করেন। তার প্রজেক্টের মূল কাজ সদ্য প্রয়াত সৈনিকদের স্মৃতি নিয়ে সেটা সিনথেটিক বা রোবটিক শরীরে প্রতিস্থাপন করা। মোটামুটিভাবে বলা চলে চেতনা একজায়গা থেকে আরেক জায়গায় ট্রান্সফার করার মত। বারবার চেষ্টা করেও বিফল হওয়ায় প্রজেক্ট হেড তার উপর চাপ দিতে থাকে।
এর মাঝেই ঘটে যায় চরম এক দূর্ঘটনা। ছুটিতে বেড়াতে যাবার সময় তার পরিবারের সবাই গাড়ি দূর্ঘটনার শিকার হয়। মারা যায় তার তিন সন্তান আর স্ত্রী। কোনভাবেই এটা মেনে নিতে পারে না উইলিয়াম ফস্টার। তাদের চেতনা সে বড় একটা ড্রাইভে কপি করে। তারপর সহকর্মী ক্লোন বায়োলজিস্টের সাথে পরিকল্পনা করে এদের ক্লোন বানায় আর চেতনা ট্রান্সফার করে তাদের মাঝে।
যদিও ক্লোন করার কন্টেইনার এর অভাবে সে তার ছোট্ট মেয়েটাকে ফিরিয়ে আনতে পারেনা প্রথমবার। এসময় তার কোম্পানির প্রজেক্ট হেড জেনে যায় তার এই অবৈধ কাজের কথা আর তার উপর চাপ দিতে থাকে ক্লোন করা তার স্ত্রী পুত্রকে মেরে ফেলে পুরো প্রক্রিয়ার ফর্মূলা তার হাতে তুলে দেবার জন্য।
উইলিয়াম ফস্টারের শেষ রক্ষা হয় তার নিজের স্মৃতিই সে কপি করে যে সিনথেটিক রোবটের শরীরে ঢুকিয়ে দেয় তার দ্বারা। এই হল মোটামুটিভাবে মুভির গল্প।
ছবিতে একশন আছে, কিন্তু কোনো ধরনের স্পেশাল ইফেক্ট নাই সেখানে। অনেকটা সাদামাটা ভাবে একটা সাইফাই কনসেপ্টকে তুলে ধরা হয়েছে। ক্লোন করতে ১৭ দিন কেন লাগবে এই ছবিতে সেটা ব্যাখ্যা করা হয়নি।
কিয়ানু রিভসের অভিনয় সবসময় মনকাড়া। শুধু তার জন্য হলেও এই ছবি আমি দেখতাম। কাহিনীতে কোন নতুনত্ব নাই। হিউম্যান ক্লোনিং আর মাইন্ড ট্রান্সফার এর আগেও অনেক হলিউডের মুভিতে যাচ্ছেতাই ভাবে দেখানো হয়েছে।
এত বিশাল কাস্টিং আর সেটাপ নিয়ে করা মুভিতে কিছু মারদাঙ্গা একশন আর ফাইটিং সিন থাকলে বেশ ভালো হোত। বলছি না আইরোবট বানাতে হবে, কিন্তু কিছু মারামারি আর সাইন্সের মারপ্যাচ না থাকায় কেমন যেন পানসে হয়ে গেছে সব কিছু।
তবে মুভির এন্ডিং আমার পছন্দ হয়েছে। মাইন্ড ট্রান্সফার টেকনোলজি যে মানুষের অমরত্বের বিকল্প হিসেবে ব্যবহার করা যাবে সেটা বুঝিয়ে দেয়া হয়েছে ছবিতে। কনসেপ্ট ভালো হওয়া সত্ত্বেও শুধু লুপহোলের কারনে অনেক গল্প মার খেয়ে যায়। Replicas (2018) মাস্টারপিস হতে গিয়েও ফেল মেরেছে এই কারনে।
এত বড় একটা গোপন ল্যাব থেকে এত দামী দামী যন্ত্রপাতি আর ম্যাটেরিয়ালস বের করে নিয়ে আসা, নিজের বাসায় সেটাপ করা, পুলিশের সহজ সরল জিজ্ঞাসাবাদ, গাড়ি দূর্ঘটনার পর তা নিয়ে কারো প্রশ্ন না তোলা, ক্লোন টেকনোলজিকে বাসার নিজের বেইজমেন্ট এক্সপেরিমেন্ট বানিয়ে ফেলা – ইত্যাদি নানা অসঙ্গতি রয়েছে মুভিতে।
তারপরেও ক্লাসিক একটা মুভির তালিকায় Replicas (2018) কে রাখতে কোন অসুবিধা নাই।