কিছু কিছু মুভি আছে যেগুলো দেখার পর পরই ইচ্ছে করে কয়েক লাইন লিখে ফেলি এই মুভিটা নিয়ে। কারন দেরি হলি অনুভুতিগুলো হারিয়ে যেতে পারে। Sanju (2018) দেখে আমার তাই মনে হয়েছে।
Sanju (2018) হল সঞ্জয় দত্তের বায়োপিক। সঞ্জয় দত্তকে নতুন করে পরিচয় করে দেবার কিছু নেই। অনেক মুভি করলেও তার বেস্ট মুভিগুলার নাম বললেই আমাদের চোখে ভেসে ওঠে মুন্না ভাই এর চরিত্র।
Sanju (2018) মুভি নিয়ে একটু বলা যাক।
আমি বায়োপিকের তেমন একটা ভক্ত নই। বেশিরভাগ বায়োপিকেই দেখা যায় ক্যারেক্টারকে হিরো বানানোর একটা চেষ্টা থাকে। তার চরিত্রের খারাপ দিকগুলোকেও জাস্টিফাই করার একটা অপচেষ্টা। বুদ্ধিমান দর্শক তা সহজেই ধরে ফেলতে পারেন।
সানজু ছবিতেও এর ব্যাতিক্রম ঘটেনি। একটা সূক্ষ চেষ্টা করা হয়েছে সঞ্জয় দত্তের চরিত্রকে এবং তার ভুলগুলোকে জাস্টিফাই করার।
সে যাই হোক, তার ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে অহেতুক কথা বলে লাভ নেই।
এই মুভির সবথেকে আকর্ষনীয় বিষয় হল রানবীর কাপুর এর অভিনয়। সঞ্জয় এর চরিত্রে তাকে অসাধারন মানিয়েছে এবং তার কঠিন পরিশ্রম দেখতে পাবেন এই ছবিতে।
আরেকটা জিনিস সবচেয়ে বেশি নজর কেড়েছে তা হল একজন ড্রাগ এডিক্টের লাইফের ইন্টারেস্টিং কিছু টুইস্ট, ব্যাক্তিগত অনুভুতি এবং ড্রাগ নেয়ার কারনগুলো। রনবীর কাপুর এর অসাধারন অভিনয়ে আপনি একজন ড্রাগির হতাশা এবং ফিরে আসার বেদনা স্পষ্ট অনুভব করতে পারবেন।
বায়োপিক হিসেবে নিলে আমার মনে হয়েছে কিছু কাহিনী বানানো/পরিবর্তন করা হয়েছে শুধু মুভির কাটতির জন্য। জাস্টিফিকেশনের কথাতো আগেই বললাম।
আর যদি রনবীর কাপুর এর ফ্যান হয়ে থাকেন তবে এই মুভি অবশ্যই দেখবেন। Sanju (2018) মুভি আপনাকে হতাশ করবে না।
Sanju (2018): মুভি রিভিউ
-
কাহিনী
-
অভিনয়
-
গান
-
চরিত্র
সার সংক্ষেপ
রানবীর কাপুরের ভক্ত যারা আছেন, কিংবা সঞ্জয় দত্তের, তাদের জন্য মুভিটা বেশ আরাম দায়ক হবে দেখতে। বায়োপিক হিসেবে মনে হবে না আপনার। মনে হবে ধামাকা কোন একশন ফিল্ম দেখছেন। রাজকুমার হিরানী তার জাদুর ছোয়ায় সঞ্জয় দত্তের অনেক ভুলকেই জাস্টিফাই করার চেষ্টা করেছেন এই ছবিতে। আবেগের ছড়াছড়ি আছে গানে আর গল্পে। বায়োপিকের থেকে টিপিক্যাল ব্লকবাস্টার মুভির মত মনে হবে দেখতে বসলে।