Skyscraper 2018
Skyscraper (2018) - হলিউড মুভি রিভিউ
আমার রিভিউ লেখা কখনো খুব বেশি বড় হয় না, কারন আমি ঘটনা আর চরিত্রের চুলচেরা বিশ্লেষনের থেকে সাদামাটা ভাবে একটা মুভি কেমন লেগেছে তাই বলে দিতে পছন্দ করি। সেই বিচারে এই মুভিটা কিছুটা বোরিং। শুধুমাত্র ডোয়েন জনসন আছে বলেই আমি এই মুভি দেখেছি। কি আর করা, মুভির শক্ত কোন গল্প নাই, তবে হলিউডের সকল মাল-মশলা আছে। আমরা তামিল মুভি দেখি যে কারনে আপনিও এই মুভি দেখবেন সেই কারনে।
ডোয়েন জনসন মানেই মারদাঙ্গা একশন। মার মার কাট – কাট সব দৃশ্য। শেষ যেই মুভিটার রিভিউ লিখেছিলাম ডোয়েন জনসনের (Rampage), এই মুভিটা তার থেকে কিছুটা উন্নতি হয়েছে বলা যায়। কিন্তু কি হয়েছে আসলে?
হলিউড মুভির রিভিউ লিখতে হয় ধীরে সুস্থে ঠান্ডা মাথায়। কারন এদের অভিনয় আর গ্রাফিক্সের কাজে আপনি অনেক সময় ধোঁকা খেয়ে যেতে পারেন ছবির কাহিনী নিয়ে। এই মুভির ক্ষেত্রেও তাই হয়েছে।
যারা ডাই হার্ড (Die Hard) মুভির ফ্যান, কিংবা বেশ কয়েকবার দেখে ফেলেছেন মুভিটা, তারা খুব সহজেই বলে দিতে পারবেন লেখক কোথা থেকে স্কাইস্ক্রাপারের কাহিনী লেখার অনুপ্রেরনা পেয়েছেন।
সেখানেও ব্রুস উইলিসকে একটা হাইরাইজ বিল্ডিং সন্ত্রাসীদের হাত থেকে বাঁচাতে দেখা গেছে। এইখানেও তাই। শুধু ব্যাতিক্রম আছে ডোয়েন জনসন নামক অতিমানবের মাসল প্রদর্শন আর অহেতুক এবং অবিশ্বাস্য স্ট্যান্টবাজি।
কাহিনী সংক্ষেপঃ
ডোয়েন জনসন এই মুভির শুরুতে এফবিআই এর একটা হোস্টেজ রেসকিউ টিমের লিডার থাকে। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনক ভাবে সেই রেসকিউ মিশনের সময় সে তার একটা পা হারায়।
যা বাবা, মুভির শুরুতেই নায়কের একটা পা উড়ে গেল? এই খোড়া নায়ক নিয়ে এখন কি করবেন আ্মাদের পরিচালক?
অনেকদিন পরে সে যখন নকল পা লাগিয়ে সুস্থ, তার আসাইনমেন্ট ছিল পৃথিবীর সব থেকে উঁচু আর আধুনিক বিল্ডিং স্কাইস্ক্রাপারের নিরাপত্তা প্রদান করা। এই হাইরাইজ বিল্ডিং আবার ব্যাংকক কেন্দ্রিক এক টেক জায়েন্টের স্বপ্নের ফল।
যাই হোক, দুষ্ট লোকের পছন্দ হল না এটা। তাই প্রতিযোগীরা এই বিল্ডিং কয়েকটা ফ্লোরে আগুন লাগিয়ে দেয় খুবই চতুরতার সাথে। কিন্তু ফাঁসিয়ে দেয়া হয় আমাদের নায়ককে।
আগুনে আটকা পড়ে তার দুই সন্তান এবং স্ত্রী। তাদেরকে বাঁচাতে হবে আর নিজেকে নির্দোষ প্রমান করতে খোঁড়া পা নিয়েই সে ঝাপিয়ে পড়ে রেসকিউ মিশনে। পদে পদে বাধা দেয় হংকং পুলিশ ঃ)।
যথারীতি কাহিনীতে কোন নতুনত্ব না থাকলেও এবং ডাই হার্ড এর মত বিখ্যাত মুভির অনুকরন মনে হলেও, এই মুভিতে ডোয়েন জনসন আছে মানেই কিছুটা ব্যবসা আছে।
হলিউড কেমন যেন হয়ে যাচ্ছে ইদানিং। যা পাচ্ছে তাই বানাচ্ছে। একশন মুভি থেকে অবশ্য এর বেশি আশা করাটাও বোকামি।
কিন্তু মারামারি কাটাকাটি তো একটা প্লটের উপর করা ভালো। কেন আরেকজনের জমির উপর মারামারি করব?
১০৩ মিনিটের এই মুভির গ্রাফিক্সের কাজ ভালো, আগুনের দৃশ্য এবং একশন দৃশ্যে ডোয়েন জনসনের লাফ দিয়ে ক্রেন থেকে বিল্ডিং এর ভেতরে পড়াটা যতই ড্রামাটিক এফেক্ট দেয়া হোক না কেন, হাস্যকর এবং অবাস্তব।
কি আর করা, মুভির শক্ত কোন গল্প নাই, তবে হলিউডের সকল মাল-মশলা আছে। আমরা তামিল মুভি দেখি যে কারনে আপনিও এই মুভি দেখবেন সেই কারনে।