তোমার যাবার বেলায় চেয়ে দেখনি
এলোমেলো কলাপাতা গুলি
বাতাসের ভরে না না বলে কেপেছিল
শিমের আড়ালে দোয়েলটি কেঁদেছিল।
পৌষের আকাশে জমেছিল কালমেঘ
ঝরেছিল অশ্রুবারি ক’ফোটা
গ্রামের ছড়ানো ছিটানো বাড়িগুলোতে
নেমেছিল শুনশান নীরবতা।
থমকে গেল উত্তরের হিমেল হাওয়া
কেউ মেনে নিতে পারে নি এ যাওয়া
মেঠোপথের দুর্বা পাপোষের শিশিরেরা
তোমার পদধুয়ে বলেছিল চলে যেওনা।
তুমি চলে গেলে নিয়ে অভিমান
শুনতে চাওনি এই হৃদয়ের টান।
আশাহত পাখির নিঃস্বপ্ন ঘুম
কেড়ে নিয়ে গেল সব সুখের ধুম।
পথপানে চেয়ে রয় ক্লান্ত এ হৃদয়
ভুল ভেঙ্গে যদি ফিরে আসা হয়
বসন্ত আসে বনে কত ফুল ফুটে
মনের আকাশ সাজে কত রঙ্গে
কত ফাল্গুনী রাত বয়ে চলে যায়
কেটে যায় বেলা তোমার ভাবনায়।
তোমার শহরে আজ আলো ঝলমল
চাঁদ তাঁরাদের প্রমোদ হাসিতে টলমল
মম গগনে থইথই করে গাঢ় অন্ধকার
নিস্তব্ধত রাত পিচঢালা পথ নির্বিকার
হুতুমপেঁচাটা সারা রাত পাহারায়
জেগে রয় শুধু তোমার প্রতীক্ষায়।
এম.হুমায়ুন কবির, জন্ম ৩০জুন ১৯৮২ নাটোর জেলায় অন্তর্গত বড়াইগ্রাম থানার খিদিরপুর গ্রামে। পড়াশোনা এস.এস.সি নিশ্চিতপুর উচ্চ বিদ্যালয়, স্নাতক বড়াইগ্রাম ডিগ্রী কলেজ,স্নাতকোত্তর এডওয়ার্ড গভঃ কলেজ, পাবনা।
বর্তমান নিবাস হবিগঞ্জ সদর। একটি ঔষধ কোম্পানীর কর্মকর্তা। প্রিয় শখ কবিতা পড়া এবং লেখার প্রয়াস ।