উঠোনগুলো সংকীর্ণ হতে হতে এখন উঠেই গেছে। এখন আর কলতলা নেই উঠোনের এক কোণে। নেই কলের শব্দ আর জলের গান। নেই কলতলার পাশে শান বাঁধানো আম গাছ।
উঠোনের রোদে শালিকের ইচিং-বিচিং অথবা চড়ুইয়ের ফুড়ুৎ-ফাড়াৎ তো নয়ই, বেখাপ্পা কাকটাও আর কা-কা এর নামতা আকে না উঠোন জুড়ে।
ভেজা উঠোনে সোঁদা মাটির ঘ্রাণ এখন ক্রোশ ক্রোশ দূর। লক্ষ্য করলে দেখা যায় ভূগোলের মানচিত্র থেকে কাদা-জলে ইচ্ছে মতো ভিজবার ব্যক্তিগত সীমারেখাটুকু মুছে গেছে, ঐ এক টুকরো উঠোনেরই অভাবে।
মাটি শব্দটা পর হয়ে গেছে, ভীষণ পর। অপরিচিতের মতো হঠাৎ হঠাৎ কখনো হয়তোবা দেখা হয় মাটির সাথে। যাকে ছুয়ে দেখা যায় না। আর ছুয়ে দেখা গেলেও যার প্রতি কোনো টান থাকে না। ব্যক্তিমালিকানাধীন একটা উঠোনের অভাব এতোটা প্রকট।
বাঁশপাতা রঙের সৌখিন বীজতলা, জোছনা রঙের ফুল বাগানের মায়াবীয়তাগুলো নির্মূল হয়ে গেছে উঠোনের সাথে সাথে। উঠোনের ক্যানভাস ভর্তি কেবল খাঁ খাঁ শূন্যতার পোর্ট্রেট।
মনের ঘরে মেঘলা রঙের যে দেয়ালটা সেটায় টাঙিয়ে রেখেছি উঠোনের ক্যানভাসটা। তবুও আঁধারের পর্দা সরালেই যেন বার বার জীবন্ত হয়ে ওঠে উঠোনের পোর্ট্রেটের একেকটা চরিত্র।