The Signal (2014) – মুভি রিভিউ


The Signal (2014)

আমি রিভিউ লিখি যখন কোন একটা মুভি খুব ভালো লাগে তখন, অথবা খুব বেশি খারাপ হলে তখনও। আর আমার লেখা যারা পড়েন তারা ইতিমধ্যেই জেনে গেছেন আমি সায়েন্স ফিকশন মুভির ভক্ত। যখনই সময় পাই, নুতুন হোক পুরাতন হোক সায়েন্স ফিকশন মুভি দেখতে বসে যাই।

২০১৪ সালের এই মুভিটা আমি ২০১৮ সালে এসে দেখলাম “The Signal“। এর আগে কেন দেখিনি তার জন্য আমি কিছুটা হতাশ। হয়ত ৪ বছর আগে কোন কারনে এই মুভি আমার ওয়াচ লিস্ট থেকে মিস হয়ে গেছে।

The Signal মুভিটাকে আমি ৫ এ ৩ এর মত স্কোরিং করেছি কারন এর কাহিনী কিছুটা The Blair Witch Project মুভির মত মনে হয়েছে আমার। তাছাড়া কিছুটা বেখাপ্পা কাহিনীতো আছেই।

কাহিনী সংক্ষেপঃ

MIT এর তিনজন স্টুডেন্ট নিক, জোনা এবং হেইলি হল মুভির প্রধান চরিত্র। তারা হেইলইকে ক্যালিফোর্নিয়া পৌছে দিতে নেভাডার মাঝখান দিয়ে যাচ্ছিল। নিক এবং জোনা কম্পিউটার হ্যাকার, তাদের MIT সার্ভার হ্যাক করে NOMAD নামের আরেক হ্যাকার এবং দোষ চাপায় এই দুই জনের উপর। তারপর সেই হ্যাকার নানান ভাবে তাদের লোভ দেখায় তাকে খুঁজে বের করার জন্য।

এই হ্যকার যখন হেইলির কম্পিউটার হ্যাক করে তখন নিক রাজি হয় একে খুঁজে বের করতে। তারা আইপি ট্রেস করে হ্যাকারের লোকেশন খুঁজে পায় তাদের যাত্রাপথ থেকে অল্প দুরেই। এখান থেকেই মূল ঘটনার শুরু। মরুভূমির মাঝখানে এক পরিত্যাক্ত বাড়িতে তারা হ্যাকারের আস্তানা খুঁজে পায়। কিন্তু বিধি বাম, হ্যকারকে ধরতে গিয়ে তারাই বিপদে পড়ে যায়।

নিক সহ বাকি তিনজনই জ্ঞান হারায় অন্ধকারে অজানা কারো আক্রমনে। নিকের জ্ঞান ফিরে পেলে সে নিজেকে আবিষ্কার করে এক ল্যাবরেটরিতে। নিকের পঙ্গু পায়ের কোন বোধ সে পাচ্ছিল না। সেখানে একজন ডক্টর থাকে, নাম ডোমেন, সে তাকে জানায় তারা তিনজন এলিয়েনদের দ্বারা আক্রান্ত হয়েছে এবং এই বায়োলজিকাল এলিয়েন ছোঁয়াচে রোগের মত।

এই এলিয়েনরা নিকের শরীরে তাদের টেকনোলজি লাগিয়েছে। পঙ্গু নিক এখন নিজের পায়ে দাড়াতে পারে। তাকে আসলে আপগ্রেড করা হয়েছে।

নিককে ডক্টর DAMON সাহায্য করার নামে এক্সপেরিমেন্টে সহযোগিতা করতে বলে। যদিও নিক জোনা এবং হেইলিকে নিয়ে পালানোর চেষ্টা করে বারবার।

বাকিটা মুভি দেখলেই বুঝতে পারবেন আপনি, কিছুটা চমক রয়ে যাক।

The Signal (2014) - মুভি রিভিউ 1

মুভি দেখতে বসার প্রথম আধাঘন্টা আমার মনে হয়েছে কোন এক হ্যকার এবং সিরিয়াল কিলারের কাহিনী দেখছি। সাউন্ড ইফেক্টে মাঝে মাঝে মনে হয়েছে এটা হরর মুভি।

মুভির শেষ দৃশ্যে এসে আমি বোকা হয়ে দেখলাম হঠাত করে বলা নেই কওয়া নেই কাহিনী সম্পুর্ন অন্যদিকে মোড় নিল। ঠিক এখানটাতেই আমার কাছে কাহিনী ভালো লেগেছে। মনে হয়ছে এরপরে আরেকটু থাকলে ভালো হোত।

নিক আবিষ্কার করে সে আসলে একটা এলিয়েন স্পেস শীপে আছে আর তাকে পৃথিবী থেকে অপহরন করা হয়েছে। এই মুভিতে স্পেশাল ইফেক্টের আছে ,তবে খুব কম সময়ের জন্য, তাও মুভির একেবারে শেষের দিকে। সেই হিসেব করলে কাহিনী আরেকটু ভালো করার দরকার ছিল। পুরো মুভি অসাধারন অভিনয় দিয়ে উতরে গেছে।

সাইফাই থ্রিলার হিসেবে জোস একটা মুভি কিন্তু কাহিনীতে খুব একটা নতুনত্ব নেই। এলিয়েন এবডাকশনের কাহিনী হলিউডে প্রচুর আছে। মুভি শেষ যেখানে হল সেখান থেকে আসলেই আরেকটা গল্প শুরু করা যায়। অনেকটা অসমাপ্ত রয়ে গেছে গল্পটা।

খুব বেশি ড্রামাটিক মিউজিক দিতে গিয়ে হরর মুভির ইফেক্ট দিয়ে ফেলেছে সাউন্ড ইঞ্জিনিয়ার। পিউর সায়েন্স-ফিকশন নয়, তবে অনেকটা এলাম দেখলাম একটু ছুঁয়ে গেলাম এইরকম।

The Signal (2014) – মুভি ট্রেইলারঃ

The Signal (2014) - মুভি রিভিউ
  • কাহিনী
  • অভিনয়
  • গ্রাফিক্স
3.3

The Signal (2014) - সায়েন্স ফিকশন থ্রিলার মুভি রিভিউ

মুভি দেখতে বসেছিলাম অনেক আশা নিয়ে, কিন্তু সায়েন্স ফিকশন হিসেবে এটা একটা বি-গ্রেডের মুভি। অভিনয় আর কাহিনী মোটামুটি। শেষ দৃশ্যের আগে মুভিটা সম্পর্কে আপনার ধারনা পেতে বেগ পেতে হবে। প্রথম দিকে মনে হয়েছে এটা একটা হরর মুভির রিপ-অফ কিংবা সিরিয়াল কিলারের কাহিনী, এর সাথে আবার হ্যাকিং এর কিছুটা যোগসুত্র রয়েছে। 🙂 কিন্তু আপনাকে হতাশ হতে হবে, হ্যাকিং এর সাথে আসলে এই মুভির কাহিনীর খুব একটা যোগ সাজশ নেই। এলিয়েনরা MIT এর তিনজন শিক্ষার্থীকে অপহরন করার জন্য হ্যাকিং এর আশ্রয় নেয় এবং এই বোকারা সেই ফাঁদে পা দেয়। নানা ঝামেলা করে শেষ পর্যন্ত আমরা জানতে পারি তাদের অপহরন করে একটা স্পেস শীপে করে এলিয়েনদের গ্রহে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। মুভির কাহিনী এখানেই শেষ। কি অদ্ভুত, গল্পটা মাত্র জমতে শুরু করেছিল 🙁

মতামত দিনঃ