সভ্য করো, নয়তো ধ্বংস করো

তৌহিদুল ইসলাম মুহাম্মদ তৌহিদ


ফিলিস্তিনি নিষ্পাপ শিশুদের বাঁচার আকুতি,
বাবাকে বীভৎসভাবে জালিমদের হাতে খুন হতে দেখার শোকার্ত আর্তনাদ,
মা হারানোয় করুণ রোনাজারি হয়তো তোমার আরশে পৌঁছে গেছে।
পৈশাচিক আনন্দে মসজিদে প্রার্থনারত নিরস্ত্র ফিলিস্তিদেরকে নির্বিচারে হত্যা –
হয়তো সবার মতো তোমার কাছেও ক্ষমার অযোগ্য মনে হয়েছে।

কাঠমোল্লাদের নিষ্ঠুর অনাচারে, কুরআন পাগল ধর্মভীরু জুয়েলকেও …
জ্যান্ত পুড়িয়ে মরতে হলো ধর্ম অবমাননার মিথ্যা অভিযোগে!
লালমনিরহাটের জুয়েলের গায়ে জ্বলন্ত সেই লেলিহান অগ্নিশিখা …হয়তো –
মোনাফিকদের ছারখার করে দিতে তোমার অনুমতি চাইছে বার বার।

রোহিঙ্গাদেরকে শুধু বাস্তুহারা করেই ক্ষান্ত হয়নি,
স্বৈরশাসকের নির্মমতার তাণ্ডবে প্রাণভয়ে সহায়-সম্বল ছেড়ে –
নাফ নদী সাঁতরে দেশত্যাগে বাধ্য হয়েছে তারা!
যারা পৈতৃক ভিটাটুকু আঁকড়ে ধরে বাঁচতে চেয়েছিল
তাদের ওপর নির্বিচারে গোলাবর্ষণ
কিংবা তাদেরকে জ্যান্ত পুড়িয়ে মারার নারকীয় পৈশাচিকতায়
…হয়তো তুমিও রুষ্ট !

ক্ষমতা দখল কিংবা কুক্ষিগত রাখতে রক্তের হোলিখেলায় মেতেছি
মানুষ বহুবার!
তুমি হয়তো ভাবছ, এদের দৌরাত্ম্য কত আর?

আমাদের পাষণ্ডতা তোমাকে বর্ননা করা বৃথা;
সিরিয়ার সেই ছোট্ট শিশু আলাইনা, সে নিশ্চয় তোমাকে সব বলে দিয়েছে!
বলে দিয়েছে আমাদের বর্বরতার কথা,
আমাদের নৃশংস হত্যাযজ্ঞের কথা,
ধর্মের নামে চরম অধর্ম চর্চার কথা!

তুমি হয়তো জেনে গেছ আমাদের আদালত গুলোতে –
এখন আদল খুঁজে পাওয়া কত মুশকিল! …. আদালতের রায়
এখন কতোটা লুটেরাদের পকেটের উপর নির্ভরশীল!

ধর্মের লেবাসে জঙ্গিবাদ
ধর্মের মুখোশ পরে অধর্ম-অনাচার তুমি হয়তো আর দেখতে চাচ্ছ না।

আমরা নিষ্ঠুরতার সীমা লঙ্ঘন করে ফেলেছি,
পেশি শক্তির দাপটে গুড়িয়ে দিয়েছি বাবরি মসজিদ!
পৃথিবীর ভূস্বর্গ কাশ্মীরকে বানিয়েছি নরকখণ্ড।

ফেলানী-নুসরাত-তনু-তৃষাদের ক্রমাগত আহাজারিতে ভারি ঐ আসমান…!
অভিশপ্ত অসুর নিধনে এবার নেমে আসো হে সর্বশক্তিমান।
এভাবে আর কত?
আমাদের ক্ষমা করো প্রভু, সভ্য করো;
নয়তো ধ্বংস করো।


কবিঃ তৌহিদুল ইসলাম মুহাম্মদ তৌহিদ

One Response

  1. তৌহিদ মে 17, 2021

মতামত দিনঃ